বিপিএলের প্রত্যাবর্তন (২০১৫): নতুন করে শুরু

বিপিএল ২০১৩: ফিক্সিং কেলেঙ্কারির সূচনা

২০১৩ সালের বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স দলের সাথে জড়িত একাধিক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল স্বীকার করেন যে তিনি দুটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন। এই স্বীকারোক্তির পর তাকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, যার মধ্যে তিন বছর স্থগিত ছিল। ​

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়, এবং শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান কৌশল লোকুয়ারাচ্চিকে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। ​espncricinfo.com

২০১৪ সালে বিপিএলের স্থগিতাদেশ

২০১৩ সালের ফিক্সিং কেলেঙ্কারির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ২০১৪ সালের বিপিএল টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের পেছনে প্রধান কারণ ছিল টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ​ (BPL)


পুনরায় ফিক্সিংয়ের অভিযোগ: ২০১৬ ও ২০২৫

২০১৬ সালে রংপুর রাইডার্সের খেলোয়াড় জুপিটার ঘোষ অভিযোগ করেন যে দলের ম্যানেজার সানুয়ার হোসেন তাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের পর বিসিবি তদন্ত শুরু করে এবং সংশ্লিষ্টদের টুর্নামেন্ট থেকে বরখাস্ত করে। ​The Express Tribune

২০২৫ সালে আবারও বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট (ACU) আটটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের সন্দেহে তদন্ত শুরু করে এবং দশজন খেলোয়াড় ও চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পর্যবেক্ষণে রাখে। ​The Daily Star


FAQ

প্রশ্ন ১: মোহাম্মদ আশরাফুলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: তিনি স্বীকারোক্তির পর আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন, যার মধ্যে তিন বছর স্থগিত ছিল।​

প্রশ্ন ২: ২০১৪ সালে বিপিএল কেন স্থগিত করা হয়েছিল?
উত্তর: ২০১৩ সালের ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য।​

প্রশ্ন ৩: ২০১৬ সালের ফিক্সিং অভিযোগে কারা জড়িত ছিলেন?
উত্তর: রংপুর রাইডার্সের খেলোয়াড় জুপিটার ঘোষ ও ম্যানেজার সানুয়ার হোসেন।​

প্রশ্ন ৪: ২০২৫ সালের ফিক্সিং তদন্তে কতজন খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজি জড়িত?
উত্তর: দশজন খেলোয়াড় ও চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।​ ​ (BPL)


উপসংহার

বিপিএলের ইতিহাসে ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিগুলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে বিসিবি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপের ফলে টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে সকলের সচেতনতা ও সতর্কতা অপরিহার্য।​